চা এক জনপ্রিয় পানীয়, যা বিশ্বজুড়ে পাওয়া যায়। এটা বিভিন্ন রকমের হতে পারে। এর মধ্যে যেমন রয়েছে গ্রিন টি, তেমন রয়েছে ব্ল্যাক টি, হোয়াইট টি, ওলং টি ইত্যাদি। চায়ের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে, ঠিক কথা। তবে কিছু মানুষের জন্য এটা ক্ষতিকর হতে পারে। যাঁদের চা খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন:
যাঁরা ক্যাফিন-সংবেদনশীল:
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন কিছু মানুষের জন্য অস্বস্তির সৃষ্টি করতে পারে। এতে অনিদ্রা, দ্রুত হৃদস্পন্দন এবং উদ্বেগ হতে পারে।
যাঁদের হাইপোথাইরয়েডিজম আছে:
তাঁরা আরও জানাচ্ছেন, এই পানীয়ের মধ্যে থাকা থাইরোগ্লোসাল অ্যাসিড হাইপোথাইরয়েডিজম আছে এমন লোকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এটা থাইরয়েড হরমোনের মাত্রা কমাতে পারে।
যাঁরা গর্ভবতী:
চায়ের মধ্যে মেলে ক্যাফিন। যা গর্ভাবস্থায় থাকা মহিলাদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এটা গর্ভপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
যাঁরা বুকের দুধ খাওয়াচ্ছেন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন বুকের দুধে প্রবেশ করতে পারে এবং শিশুর ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ আছে:
একই সঙ্গে চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে।
যাঁদের অ্যানিমিয়া আছে:
এর পাশাপাশি চায়ের মধ্যে থাকা ট্যানিন লোহার শোষণকে বাধা দিতে পারে। এটা অ্যানিমিয়া আছে এমন লোকদের জন্য সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।
যাঁদের ডায়েরিয়া আছে:
চায়ে পাওয়া যায় থাইরোগ্লোসাল অ্যাসিড। এটা ডায়েরিয়াকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে।
যাঁরা ওষুধ খাচ্ছেন:
চায়ের মধ্যে মেলে ক্যাফিন। যা কিছু ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। এটা ওষুধের কার্যকারিতা কমিয়ে দিতে পারে বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বৃদ্ধি করতে পারে।
যদি কেউ এর মধ্যে কোনও এক বা একাধিক অবস্থার মধ্যে থাকেন, তা হলে চা খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার
(সতর্কীকরণ- এই নিবন্ধ কেবলমাত্র তথ্য জানানোর উদ্দেশ্যে। এটা পেশাদার চিকিৎসা পরামর্শ, নির্ণয় বা চিকিৎসার বিকল্প নয়। আপনার স্বাস্থ্য সম্পর্কে যে কোনও প্রশ্ন থাকলে সব সময় আপনার ডাক্তার বা অন্য কোনও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন)